লালমনিরহাট: অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ধূমপান করেন লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ। তার এক হাতে সিগারেট ধরে অন্য হাতে ফাইল সই করার ভিডিও পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সরকারি বিধি অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এ জন্য। এছাড়া যানবাহন, জনসমাগম স্থল এবং সরকারি- বেসরকারি অফিসে ধূমপান নিষিদ্ধ।
সরকার ধূমপান রোধে আইন প্রণয়ন করলেও সরকারি অফিসে বসেই চলছে আয়েশি ধূমপান। লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ নিজ কার্যালয়ে বসেই একের পর এক সিগারেট টানেন। প্রায়ই তার এক থাকে হাতে সিগারেট, অন্য হাতে সই করেন সেবা গ্রহীতাদের ফাইলে। মূলত অফিসের বড় কর্মকর্তা হিসেবে বীরদর্পে অফিসে বসেই ধূমপান করেন তিনি।
সম্প্রতি অফিসে বসে তার ধূমপান করার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ধূমপানের দুর্গন্ধে তার কক্ষে অনেকেই ঢুকতে চান না।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভলিয়ম বইসহ বিভিন্ন কাজে প্রায়ই জেলা রেজিস্ট্রারের কক্ষে যেতে হয়। অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান আমাদের জেলা রেজিস্ট্রার। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর হয়। অফিসে যত লোকই থাকুক, তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস।
জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্যারকে সিগারেট খেতে দেখিনি। তবে তার কক্ষটিতে প্রচুর সিগারেটের দুর্গন্ধ। যখন রেজিস্ট্রার স্যারের কক্ষে যাই, তখন রুমে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করেন। তবুও দুর্গন্ধ বোঝা যায়।
লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরের খাবারের পরে সিগারেট খেয়েছি। তখন হয়তো কেউ ভিডিও করেছে।
অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ কি না? -এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
এসআই