স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন করে সম্প্রীতি সমাবেশের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ জুলাইয়ের নির্দেশনার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সম্প্রতি দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, এ কমিটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা দান করবে।
এতে আরও বলা হয়, সকল ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দান, বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীগুলো ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির রূপরেখায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ কমিটির সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহ-সভাপতি এবং প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হবেন সদস্য সচিব। এ কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১৩ জন।
অপর সদস্য হিসেবে থাকবেন- পাঁচজন কাউন্সিলর, দুই জন করে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী সমাজসেবক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি ও স্কাউট-গার্লস গাইড-বিএনসিসি-এনজিওদের পাঁচজন প্রতিনিধি।
অন্যদিকে, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির রূপরেখায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সভাপতি, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহ-সভাপতি এবং ওয়ার্ড সচিব এ কমিটির সদস্য সচিব হবেন।
এ কমিটির সদস্য সংখ্যাও ১৩ জন। অপর সদস্যরা হলেন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমাজসেবক-গণমাধ্যমকর্মী দুইজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য, নারী সমাজসেবক, সহকারী স্বাস্থ্যকর্মকর্তা, সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি ও স্কাউট-গার্লস গাইড-বিএনসিসি-এনজিওদের পাঁচজন প্রতিনিধি।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, এ কমিটি সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
চিঠিতে বলা হয়, কমিটির যাবতীয় ব্যয়ভার বিধি মোতাবেক সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব-রাজস্ব তহবিল থেকে নির্বাহ করতে হবে। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একটি ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ আয়োজন করে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন এ বিভাগে পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস