রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে দায়িত্বরত অবস্থায় এক সিনিয়র স্টাফ নার্সকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নার্স শিলা নতুন বিল্ডিংয়ের দোতালায় ভায়া রুমে গাইনি পরীক্ষার জন্য কাজ করছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে একজন মাস্ক পরা যুবক ঢুকে নার্স শিলাকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। সিনিয়র নার্স শিলা চিৎকার করে সহযোগিদের ডাকতে থাকেন। এরইমধ্যে প্রায় ৫/৭ মিনিট দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। চিৎকার শুনে সহযোগিরা এগিয়ে এলে হামলাকারী যুবক তার হাতে থাকা হাতুড়িটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ধীমান চন্দ্র বর্মন জানান, ঠিক কী কারণে তার ওপর এমন নৃশংস হামলা হয়েছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আহত শিলার সার্ভিস স্ট্যাটাস খুবই সন্তোষজনক। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ ঘটনায় হামলাকারী ওই যুবককে খোঁজা হচ্ছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুল কবির রাজশাহীতে মিটিংয়ে থাকায় তেমন কিছু বলতে পারেননি। তবে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারী শিলা প্রামাণিকের ওপর যে হামলা হয়েছে তা হাসপাতালের জন্য হুমকি স্বরূপ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য মেডিক্যালের পক্ষ থেকে আনসার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। শিলাকে সিটিস্ক্যানের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের ওপর হামলার ঘটনায় খুবই উদ্বেগজনক। তাই হামলাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, সিনিয়র স্টাফ নার্সের ওপর হামলার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অফিসে এলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এসএস/আরবি