বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পুজাখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সদর ইউনিয়নের পুজাখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে অলাউদ্দিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদারের সঙ্গে ৭ একর ৭৩ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে ১১ বছর ধরে দ্বন্দ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার শালিস বৈঠকেও বসেও এর সমাধান করতে পারেনি। পরে এনিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
হারুন হাওলাদারের দাবী, তার দখলীয় জমি শুক্রবার সকালে আলাউদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলে নেওয়ার জন্য চাষ শুরু করে। তারা বাঁধা দিলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ধারালো দা রামদা এবং লাঠি সোঠা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাপিয়ে পরে এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো বশির হাওলাদার, ইউনুছ হাওলাদার, নিজাম হাওলাদার, মিরাজ হাওলাদার, হারুন হাওলদার, মিজানুর হাওলাদার, শাকিব হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সিদ্দিক হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, সজীব হাওলাদার, আলাউদ্দিন হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার, হেলাল হাওলাদার, বেল্লাল হাওলাদার, নাসির হাওলাদার, শান্টু হাওলাদার, রাকিব হাওলাদার, হালিম হাওলাদার, বশার হাওলাদার, আলম হাওলাদার, সেলিনা বেগম, শাহানারা বেগম, ডালিয়া বেগম।
আহতদের মধ্যে প্রথম ১১ জনকে আমতলী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বশির, ইউসুব, নিজাম, মিরাজ ও সিদ্দিক হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ১৪ জনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হারুন হাওলাদার বলেন, এই জমির মালিক আমি। শুক্রবার সকালে আলাউদ্দিন হাওলাদার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলের জন্য আসলে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের ১১ জন আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সালিশ বৈঠকে জমি আমরা পাওয়ার পরেও প্রতিপক্ষ আলাউদ্দিন হাওলাদার তা মানছেন না।
এদিকে, আলাউদ্দিন হাওলাদারের দাবি জমি তাদের। তিনি বলেন, হারুন হাওলাদার জোর করে আমাদের জমি ভোগ দখল করছে।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আলাউদ্দিন হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদসহ কারো সালিশ বৈঠকের রায়ও মানছে না। তারা জবর দখল করে হারুন হাওলাদারের জমি ভোগ দখল করতে চায়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
এনএটি