যশোর: যশোরে আলম মন্ডল (৩৫) নামে এক রিকসা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলম মন্ডলের আদি বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। রাজনৈতিক ভাবে স্থানীয় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার অনুসারী ছিলেন তিনি।
তবে, স্থানীয় আধিপত্যের দ্বন্দের জেরে বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদারের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার অনুসারীদের বিরোধের জেরে আলম মন্ডল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দাউদ হোসেনের লোকজন আলমকে পিটিয়ে হত্যা কারেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন বলেন, ছাতিয়ানতলা এলাকার সন্ত্রাসীরা আলম মন্ডলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কাজীর বাগানে নিয়ে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী তাকে বেদম প্রহার করে। গুপ্তি (ফাঁপা লাঠির মধ্যে লুকায়িত সরু তরবারি) দিয়ে তার পায়ের নলায় একাধিক আঘাত করে ছিদ্র করে দেয় এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়।
লোকমুখে সংবাদ পেয়ে ইমরান হোসেন তার পিতাকে খুঁজতে কাজীর বাগানে যান। সেখানে তিনি দেখতে পান তার পিতা হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাকে (আলম মন্ডলকে) উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভাশিস রায় বলেন, মারপিটের আঘাতজনিত কারণে তার (আলম) মৃত্যু হয়েছে। তার দুই পা ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
ইউজি/এনএটি