ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ নিয়ে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

ঢাকা: ‘জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে ডাক অধিদপ্তর।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ডাক ভবন মিলনায়তনে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড ও সীলমোহর প্রকাশ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলূর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফয়জুল আজিম সভাপতিত্ব করেন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু এবং বাংলা টাইপ রাইটার যন্ত্র প্রবর্তনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যাসাগর থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার যে ভিত্তি রচনা করেছেন তা অসাধারণ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবেই নয় বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ আমাদের জন্য বড় অহংকার।  

পিতার পথ ধরে কন্যার যে যাত্রা তা স্মরণীয় রাখতে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা সুরক্ষিত। আমরা স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছি।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ১৯৫২ সালের অক্টোবরে চীনের পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে বাংলায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা দেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে শান্তি সম্মেলনে যোগদান করে বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তৃতা করে বাংলা ও বাঙালিকে তুলে ধরেছেন বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে।  

তিনি বলেন, এ স্মারক ডাকটিকিট নতুন প্রজন্মের কাছে একদিন বাংলা ও বাঙালির গৌরবের ইতিহাসের কথা বলবে। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা রাষ্ট্রগঠন থেকে শুরু করে সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য যা যা করেছেন তা স্মরণ করা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে দেবনাগরী প্রভাব মুক্ত বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা প্রবর্তন লড়াইয়ের অন্যতম নেতা মোস্তাফা জব্বার বলেন, মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি এ তিন নিয়ে কোন আপস করা যায় না। সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।

মন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদানের এ দিনটি বাঙালি জাতির জন্য আরও একটি ঐহিহাসিরক দিন বলে বর্ণনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জাতি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এমআইএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।