যশোর: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে রিকশাচালক আলম মণ্ডলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে তানভীর হাসান রক্সি (৩২) ও একই এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মানিক (৪০)।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের মেহেদী হাসান রুনু, ছাতিয়ানতলা গ্রামের সুমন হোসেন, চুড়ামনকাটি গ্রামের মাহমুদুর হাসান মামুন, ছাতিয়ানতলা গ্রামের মো. সাদ, চুড়ামনকাটি মো. রকি, বাগডাঙ্গা গ্রামের ইকরাম হোসেন, শ্যামনগর গ্রামের মো. বাদল, বাগডাঙ্গা গ্রামের আমিরুল ইসলাম, চুড়ামনকাটি গ্রামের রানা।
গ্রেফতার ও মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র রুপন কুমার সরকার।
জানা যায়, রিকশাচালক আলম বছরখানেক আগে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার রাইস মিলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি তার রাজনৈতিক প্রোগ্রাম গুলোতেও অংশ নিতেন। নির্বাচনে মুন্না চেয়ারম্যান পরাজিত হলে নতুন চেয়ারম্যান দাউদ আলীর লোকজন আলমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে আলম যশোর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
শুক্রবার দুপুরের দিকে আলম চুড়ামনকাটি এলাকায় গেলে দাউদ চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম শুক্রবার রাতে ১১জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত দাউদ চেয়ারম্যানের ছেলে রক্সি ও তার সহযোগী মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
ইউজি/আরএ