ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পিবিআই কার্যালয় থেকে আদালতে রহিমা বেগম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
পিবিআই কার্যালয় থেকে আদালতে রহিমা বেগম

খুলনা: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে (৫৫) জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর রহিমাসহ আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

প্রায় এক মাস তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বোয়ালমারীর কুদ্দুসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কুদ্দুস এক সময় খুলনার একটি জুট মিলে চাকরি করতেন ও রহিমার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন।   

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রহিমাকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে আনা হয়। পরে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।  

তিনি বলেন, আমরা রহিমাকে সুস্থভাবে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় এক মাস তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আমরা তাকে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এরপর তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবো। তদন্ত শেষে বলতে পারবো তিনি কি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে গেছেন। নাকি অন্য কোনো ঘটনা আছে। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা জড়িত কিনা বিষয়টি সেটি জানার চেষ্টা চলছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে রহিমা বেগমকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা। এরপর প্রায় ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেননি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানরা সেখানে গিয়ে মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেওয়ার পর মাকে পাননি তারা। এ ঘটনায় পরে তারা সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ছয়জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।  

এ অবস্থায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে নথিপত্র ১৭ সেপ্টেম্বর বুঝে নেয় পিবিআই খুলনা। এখন এ মামলার তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক আব্দুল মান্নান।

২২ সেপ্টেম্বর রহিমার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ওরফে মরিয়ম মান্নান দাবি করেন, তার মায়ের মরদেহ তিনি পেয়েছেন। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ফুলপুরে দিনভর অবস্থান নেন এবং ব্যস্ততম সময় পার করেন। একই সঙ্গে সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহকে নিজের মা বলে শনাক্ত করেন। তিনি ডিএনএ প্রোফাইল করার জন্যও সম্মত হন। ২৫ সেপ্টেম্বর (আজ) ময়মনসিংহের আদালতে ডিএনএ প্রোফাইল করার আবেদন করার কথাও ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।