ঢাকা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, হাসপাতালে ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ফার্মেসি অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং সব হসপিটালে অন্তত দুই জন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফার্মাসিস্টদের অবদানের পাশাপাশি দেশে ফার্মাসিস্টদের যোগ্য মর্যাদা তুলে ধরতে হবে। উন্নত বিশ্বের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগ এমনকি ওয়ার্ডেও চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে ফার্মেসি শিক্ষা চালু হয়। কিন্তু আজও প্রকৃত হসপিটাল ফার্মাসিস্ট (গ্র্যাজুয়েট) চালু হয়নি। তাই দেশের রোগীরা ওষুধ পাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু তার ভুল ব্যবহার ও সঠিক ডোজের অভাবসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ভুল ওষুধ সেবনে মৃত্যুরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালের ওষুধ নীতিতে স্পষ্ট করে লিখা আছে ওষুধের উৎপাদন, নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ সব ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট রাখতে হবে, হসপিটালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রশাসনে ফার্মাসিস্ট দিয়ে তদারকির কথ বলা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবাকে উন্নত বিশ্বের মতো সফল করে গড়ে তুলতে হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগের দাবি জানান বক্তারা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ এবং ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা এম আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এনবি/কেএআর