নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক হোসেন ও তার চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
রোবাবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে শান্তিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বারদি ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু ডাকাতের সঙ্গে চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ফারুক হোসেনে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে রোববার সকালে শান্তিরবাজার এলাকায় মান্দারপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু ডাকাত, চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ওমর ফারুক, আশিক, নুরা ডাকাত, সুজনসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার চিৎকারে তার চাচাতো ভাই কাউসার এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাবু ডাকাতের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও ঢাকার রূপনগর থানায় ৭টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এমন কোন অপকর্ম নেই হাবু ডাকাতের সিন্ডিকেট করছে না। শান্তিরবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসা, অবৈধ জমি ও বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
আহত ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাবু ডাকাত, নুরা ডাকাত, ফারুক হোসেনসহ ২০-২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট করে ওই এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখল করে আসছে। এছাড়াও এ সিন্ডিকেটের লোকজন মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের বাধা দিলেই বিপত্তি ঘটে। তারা ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবু ডাকাতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার তিনটি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত ওমর ফারুক বলেন, বালুর ড্রেজার বসানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর চেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেনি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাবিবুর রহমান ৭টি মামলায় জামিনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
এমআরপি