ঢাকা: অপুষ্টি জনিত সমস্যা প্রতিরোধে দেশের সব মন্ত্রণালয়কে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘স্কেলিং আপ নিউট্রেশন (সান) পলিসি ডায়ালগ ২০২২’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, জাপানে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত টোকিও নিউট্রিশন ফর গ্রোথ (এনফরজি) সামিটে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২টি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে অপুষ্টি মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ প্রতিশ্রুতি পুরণে শুধুমাত্র একটি মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। দেশের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, খাদ্য গ্রহণে পুষ্টি গ্রহণের কারো চিন্তা নেই। এখনকার সময়ে শুধু মজা লাগলেই মানুষ খেয়ে থাকে। আগে পরিবারের মায়েরা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতেন যাতে শিশু মেধাবী হয়, শক্তি পায়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় শিশুরা খাচ্ছে শুধু খাওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি যা খাওয়া হয় তা শরীরের কোনো কাজে লাগছে না। এখন অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়া হয়, খাবার বাসায় চলে আসে, আর শিশুরা বসে বসে গেইমস খেলে আর খায়। এমনকি ডাইনিং টেবিলেও খেতে যায় না। আর এসব অবস্থার কারণে স্থুলতা, ফ্যাটি লিবারসহ বিভিন্ন সমস্যা বাড়ছে।
শুধু কর্মকর্তা নিয়োগ করে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। পুষ্টি সম্পর্কে পরিবারকে সচেতন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিবার সচেতন না হলে বাচ্চারা স্থুল হবে। পুষ্টির জন্য কমিউনিটি লেভেলে কাজ করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সার্ভিসের (এনএনএস) প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুষ্টি সার্ভিসের (এনএনএস) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. এম ইসলাম বুলবুল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস