বরিশাল: প্রতিবন্ধী মেয়ের ধর্ষণের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির (বিআরইউ) শহীদ জননী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়ের মা ছালমা (ছদ্মনাম) বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে আমার স্বামী কৃষিকাজ করার জন্য মাঠে চলে যায়। এরপর আমি রান্নার কাজ শেষ করে বেলা ১১টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। ওই সময় আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে একা ঘরে ছিল। ডাক্তার দেখানোর পর আমি যখন বাড়িতে ফিরে আসি তখন প্রতিবেশীর কাছে শুনতে পাই, বাড়িতে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘরে ঢুকে আমার স্বামীর কাছ থেকে জানতে পারি তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে এসে ঘরের সামনের ও পেছনের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে মেয়েকে ডাক দেন। তখন মেয়ে ঘরের পেছনের দরজা খুলে দিলে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামকে ঘরের ভেতর দেখতে পান। এ সময় শহিদুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি শহিদুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেছে।
ধর্ণষের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে আমাদের ঘরে এসে মাফ চায়। তবে আমরা বিষয়টির সঠিক বিচারের দাবিতে মামলা করার প্রস্তুতি নেই। পরবর্তীতে মামলা করতে থানায় গেলে শহিদুলের পরিবার আমাদের মামলা না করার জন্য বলে। আর যদি মামলা করি তাহলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। যদি এর সঠিক বিচার না পাই তাহলে মা-মেয়ে দুজনেই আত্মহত্যা করবো। আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, তারপর আবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে—এই জীবন রাখার চেয়ে না রাখাই ভালো!
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি পলাতক। তবে আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এমএস/এমজেএফ