মাগুরা: মাগুরায় সাফজয়ী নারী ফুটবালার ইতি রানী মণ্ডল ও সাথী বিশ্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন গ্রামবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার ৫ নম্বর দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বাফুফের একটি প্রাইভেটকারে করে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে মাগুরার ওয়াবদা এসে পৌঁছান ওই দুই ফুটবলার। সেখানে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন স্কুলের শিক্ষকসহ ফুটবল প্রেমীরা।
এরপর প্রাইভেটকারটি গোয়াদহ গ্রামে পৌঁচ্ছালে স্কুলের শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা তাদের সংবর্ধনা দেন। এ সময় গোটা স্কুল মাঠজুড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেবজতি রানী ও সাথীকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হাজারো প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছিল পাহাড় সমান উঁচু। গ্রামের অনেকেই নারীদের ফুটবল খেলা অপছন্দ করেছেন। বাল্যবিয়ের হাত থেকে তাদের রক্ষা করে মাঠে এনে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমার হাতে গড়া দুই কৃতি ফুটবলারের সাফল্য দেখে আজ আমি আনন্দিত।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রানী ও সাথী হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে আমাদের এতো বড় জয় এনে দিয়েছে। তাদের অভাবের সংসারে যেখানে দুই বেলা খাবার জোগাড় করাই কষ্টের ছিল, সেখান থেকে তারা পুরো বিশ্বের কাছে এখন পরিচিত হয়েছে। তাদের সাফল্যে আমরা আনন্দিত।
মাগুরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সাফজয়ী দুই নারী ফুটবলার মাগুরাবাসীর গর্ব। তারা মাগুরা জেলাকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আমি এই কৃতি দুই ফুটবলারের সাফল্য কামনা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এফআর