কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক দুই মাস ২৯ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। পরে ছোট বড় ১৫টি বস্তায় টাকাগুলো ভরে গণণার কাজে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (০১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলার পর শুরু হয়েছে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখসহ আরও অনেকেই।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার দুই মাস ২৯ দিন পর মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে বিকেলে কতো টাকা পাওয়া গেল তার হিসাব পাওয়া যাবে।
এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জুলাই মসজিদের দান সিন্দুকগুলো খুলে গণনা করে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়।
এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
এএটি