পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় সোনিয়া খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে মুখ বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তার স্বামী রুবেল হোসেন (২৮)। হত্যার পর চার বছরের ছেলে হামিমকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে হামিমকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এদিন দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর এলাকা থেকে রুবেলকে আটক করা হয়। ওই সময় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আজ (শনিবার) সকালে রুবেলকে পাবনার আদালতে সোপর্দ করা হবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী সোনিয়াকে হত্যা করেন তিনি (রুবেল)। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এখন কিছু বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় রুবেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় রুবেল তার স্ত্রী সোনিয়াকে হত্যা করেন। সোনিয়া ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ০১ অক্টোবর, ২০২২
জেডএ