ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসান নগরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ তার পরিচয় জানতে পেরেছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় ফজলের গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহ উদ্ধারের চার থেকে পাঁচ দিন আগে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে হাসান নগর ভান্ডারী মোর লিটনের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ঝুপড়ি ঘরে ফজল তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন।
ওসি আরও জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী ফজল ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তার আগে থেকেই দুই হাত ছিল না। একমাস যাবত ওই বাসাটি ভাড়া নিয়ে ফজল তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের ঘরের দুই মেয়ে ছিল তারাও সেখানে থাকতো।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সবাই পলাতক। ফজলের বড় স্ত্রী রংপুর জেলায় থাকে। পুলিশ তার বড় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেই পরিবার ঢাকায় আসছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবু পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসান নগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে এটি হত্যাকাণ্ড।
>>আরও পড়ুন: বাসায় পড়েছিল অর্ধগলিত লাশ, পুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
এজেডএস/এসএ