পিরোজপুর: পিরোজপুরের মাদরাসায় ঢুকে সহ-সুপারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার নামাযপুর এলাকার নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদরাসার সহ-সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, নামাযপুর এলাকায় তার পৈত্রিক ৪৪ শতাংশ জমিতে তিন ভাইয়ের সুপারি বাগান থেকে পার্শ্ববর্তী আবু জাফর ও তার লোকজন সুপারি নিয়ে গেলে তার প্রতিবাদ করেন তিনি। এ ঘটনায় আবু জাফর ও তার লোকজন মাদরাসার ভেতরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সহ-সুপারের স্ত্রী নাসরিন লাকী জানান, আমাদের সুপারি বাগান থেকে অন্যায়ভাবে প্রায়ই সুপারি পেরে নিয়ে যায় আবু জাফর ও তার লোকজন। শুক্রবার দুপুরে সুপারি নিতে এলে প্রতিবাদ করায় আবু জাফর ও তার তিন ছেলে খায়রুল ইসলাম, মুন্না,
রিয়াজুল, পার্শ্ববর্তি মনিরুজ্জামান বেলা, রবিউল সহ ৮/১০ জন মাদরাসার ভেতরে গিয়ে তার স্বামীর ওপর হামলা চালায়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তিনি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। নানাভাবে
আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে যেন মামলা না করি।
নামাযপুর সাকিনা হামিদ বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার আলী আফসার ওহীদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবু জাফর ও তার লোকজন মাদরাসার ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন ঝামেলা করে আসছিলো। প্রতিবাদ করলে এলাকার বখাটেদের নিয়ে এসে হামলা করে।
জেলা হাসপাতালের ডাক্তার রমজান আলী জানান, রোগীর মাথায় আঘাত রয়েছে সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভর্তি রেখে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
আরএ