সাভার, (ঢাকা): কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের ম্যাগনেট পিলার দিতে চেয়েছিলেন কবির, মতিন, রফিক ও পারভেজ। এ জন্য তারা আশুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আমান উল্লাহ ও আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছিলেন।
সাভারের আশুলিয়া থেকে এ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার (২ অক্টোবর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার।
এর আগে শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার থেকে তাদের আটক করা হয়।
এজাহারে গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে- ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার দক্ষিণ বাটা মারা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. কবির হোসেন (৪২), ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার কানাইপুর গ্রামের করম আলীর ছেলে মাওলা মতিন (৭০), পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার ঢাকাইয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রফিক (৩৫) ও বরিশাল জেলার মুলাদী থানার চরকালেখা গ্রামের মিন্টুর ছেলে পারভেজ (৩৬)। তারা উত্তর পশ্চিম ডিএমপি থানা এলাকায় বসবাস করতেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী আমান উল্লাহ ও আসাদুজ্জামানের সঙ্গে জমি ব্যবসা নিয়ে পরিচয় হয় মওলা মতিনসহ বাকিদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে মওলা মতিন ভুক্তভোগীদের ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ম্যাগনেট পিলার ৩০০ কোটি টাকায় বিক্রি করবে বলে লোভ দেখান। পরে ভুক্তভোগীদের কাছে ১ লাখ টাকা চান মাওলা মতিন। সে অনুসারে টাকাও পাঠান আমান উল্লাহ ও আসাদুজ্জামান। পরে বিভিন্ন সময় আরও ১ লাখ টাকা নেন মতিন।
শনিবার তিনিসহ বাকিরা আশুলিয়া টঙ্গাবাড়ির আমান উল্লাহর বাড়িতে এসে ম্যাগনেট পিলার বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগীরা টাকা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে একটি স্ট্যাম্প করতে চান। কিন্তু কবির, মতিন, রফিক ও পারভেজ এতে রাজি হতে অস্বীকার করেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি সন্দেহে এলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটকে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাচিব সিকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। এতে আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২২
এসএফ/এমজে