কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ও ভুক্তভোগীর প্রেমিক আলামিন হোসেনকে (২৪) আটক করেছে র্যাব-১২।
সোমবার (০৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটক আলামিন হোসেন কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, কুমারখালি থানার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পাশের আলাউদ্দিন নগর গ্রামের যুবক আলামিন হোসেন প্রেমের অভিনয় করে আসছিলেন। গত ০৬ মার্চ রাতে আলামিন ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করেছিল তার দুই বন্ধু ইমন ও রাকিব। এক পর্যায়ে আলামিন ও তার দুই বন্ধু মিলে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনাটি ইমন তার মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন।
পরে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলামিন ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সেই ভিডিওটি গ্রামের কয়েকজন যুবকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।
এর পর বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার দাদির কাছে জানালে তিনি বাদী হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ তৎসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বর-৩৮।
মোহাম্মদ ইলিয়াস খান আরও জানান, রোববার (০২ অক্টোবর) দিনগত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গাজীপুর থেকে এ মামলার প্রধান আসামি আলামিনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এফআর