ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মজীবী ল্যাকটেটিং ভাতা পাচ্ছেন ১১ লাখ নারী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
কর্মজীবী ল্যাকটেটিং ভাতা পাচ্ছেন ১১ লাখ নারী

ঢাকা: শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে ১১ লাখ নারীকে মাতৃত্বকালীন ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে মেধাবী ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বাস্তবায়িত হচ্ছে ৮০ হাজার কোটি টাকার শিশুকেন্দ্রিক বাজেট।

সোমবার (০৩ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকার শিশুদের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত ও উন্নত জীবন গঠনে কাজ করছে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং তারাই দেশ গড়ার নেতৃত্ব দেবে। এই শিশুরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করবে ও বঙ্গবন্ধুর মতো উদার মানবিক চেতনা নিয়ে বড় হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত ও উন্নত-সমৃদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এরই মাধ্যমে নিশ্চিত হবে সকল শিশুর অধিকার।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, সরকার শিশুদের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বিভিন্ন জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩, শিশু আইন ২০১৩, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাল্যবিবাহ নিরোধ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ আইন, নীতি ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পর্যন্ত লিঙ্গ সমতা অর্জিত হয়েছে। দুই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে এক কোটি চল্লিশ লাখ কন্যা শিশু।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম এবং ইউনিসেফের রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট। শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

এবার বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘গড়বে শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ’।

অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, আমাদের শিশুর শিক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের শিশু উন্নয়ন কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয় হিসেবে বিশ্বে বিবেচিত হচ্ছে।  

সভাপতির বক্তব্যে সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, সরকার আগামীর মেধাময় ও আলোকিত শিশু গড়ে তুলতে শিশুবান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গর্ভাবস্থা থেকে শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ১ কোটি ৩০ লাখ মা ও শিশুকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

দুই শিশু আদিবা তসনিম আরা খান ও অনিন্দ্য আরণ্যক অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য দেয়। প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। আলোচনা পর্ব শেষে ছিল শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সিসিমপুর লাইভ শো।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন করা হবে। এ বছর জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে রয়েছে র‍্যালি, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেল ৩টায় ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২ 
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ