গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে কৃষ্ণা রানী (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী প্রদীপ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে কৃষ্ণার বাবা রবীন্দ্র নাথ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/ তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি গ্রামের স্বামী প্রদীপ কুমারের বাড়ি থেকে কৃষ্ণার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুন উপজেলার চুনিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ফকির চন্দ্র দাসের ছেলে প্রদীপ কুমারের সঙ্গে পলাশবাড়ি উপজেলার ঘোড়াবান্দা গ্রামের রবীন্দ্র নাথের মেয়ে কৃষ্ণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করে আসছে প্রদীপ। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যমত টাকা দেওয়ার পরও বারবার টাকা দাবি করছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে ঘরোয়া সালিশ বৈঠকও হয়। এমতাবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কৃষ্ণা মারা গেছে বলে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পায় তার পরিবার।
নিহতের বাবা রবীন্দ্র নাথের অভিযোগ, প্রদীপ যৌতুকের টাকা চেয়ে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করত। গত শনিবার গভীর রাতে তাকে আবারও মারধর করে সে। পরে জানতে পারি আমার মেয়ে মারা গেছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, কৃষ্ণাকে হত্যার অভিযোগে সোমবার মামলা করেছেন নিহতের বাবা। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
আরএ