বরগুনা: ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১২ টার পর থেকে সাগর ও নদীতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫-১৮ দিন ইলিশের ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য এ সময় ইলিশ ক্রয় বিক্রয়, বিপণন ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলার নিয়ে ছেলেরা বিএফডিসি ঘাটে পৌঁছে গেছে। বাকি ট্রলারগুলো পথে আছে, রাত ১২ টার আগেই সবাই পৌঁছে যাবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলের জন্য ২০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ হয়েছে। জেলেদের মাঝে এসব চাল বিতরণ করা হবে।
তবে সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পাথরঘাটার জেলেরা। জেলেরা জানান, ২২ দিন কোনো আয় হবে না। শুধু চাল দিয়েই তো আর পেট চলে না, চালের সঙ্গে আরও অনেক কিছুর দরকার হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আরো বেশি সহযোগিতা পেলে আমাদের সংকট দূর হতো।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের মাছ না ধরায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
এই ২২ দিন মাছ-ধরা বন্ধে জেলা মৎস্য অধিদফতর, কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২২
এসআইএস