ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কদমতলী থেকে নুরুল ইসলাম সজীব (২৬) ও শাহজাহানপুরে শুক্কুর ওরফে অন্তু (১৯) নামে দুই যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর পালং উপজেলার কাগদী গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের ছেলে শুক্কুর। শাহজাহানপুর টিটিপাড়া সুইপার কলোনির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম জানান, শুক্কুর ভবঘুরে প্রকৃতির এবং মাদকাসক্ত। ৫-৬ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। তবে কোনো কাজ না করায় ২-৩ মাস আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এনিয়ে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
এদিকে, লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলর দক্ষিণ কিউরি গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে সজীব। স্ত্রী রিমি ও একমাত্র সন্তান আ. রহমানকে (১) নিয়ে কদমতলীর পূর্ব জুরাইন মেডিকেল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মরদেহটি পাওয়া যায়।
মৃত সজীবের বড় বোন আমেনা আক্তার শিলা জানান, বাস চালক ছিলেন সজীব। গতকাল রাতে পুলিশের মাধ্যমে তারা খবর পান, সজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মর্গে সজীবের শাশুড়ি শামসুন্নাহার বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী রিমি সজীবকে বাজার করতে বলেন। তবে তার কাছে টাকা নেই বলে জানান সজীব। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও একটু হাতাহাতি হয়। পরে সজীব রুমের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। রুমের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েছেন ভেবে তারা আর তাকে ডাকেননি। এরপরও তিনি রুম না খোলায় রাতের দিকে থানা পুলিশে খবর দেন। রাত ১০টার দিকে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন সজীব।
মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২২
এজেডএস/এসআইএস