ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানব পাচার প্রতিরোধে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২২
মানব পাচার প্রতিরোধে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্টস ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের অপপ্রয়োগসহ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্টস ফাউন্ডেশন (বিএমএফ)।

শনিবার (০৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্টস ফাউন্ডেশনের (বিএমএফ) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জয় সংবাদ সম্মেলন বলেন, নিরাপদ অভিবাসন ও তার জন্য সরকারি সেবা সহায়তা প্রাপ্তি সকল অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মীদের অধিকার। আমরা বৈধ অভিবাসনের সকল ডকুমেন্টস যাচাই ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে অ্যাডভোকেসি করি। কিন্তু আমাদের এই কাজ একটি সংগঠনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে যায়। ফলে আমি ও আমার সংগঠন চক্রান্তের শিকার হই। এতে আমার জীবন থেকে ঝরে যায় ৯ বছর, আমার সংগঠন কলংকিত হয় মিথ্যা অভিযোগে। কোনো অপরাধ না করেও ১ মাস ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্ধকার জীবন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু আমি ও আমার সংগঠন বিএমএফ ভাগ্যবান, কারণ অভিবাসীকর্মী ভাই-বোনেরা সার্বক্ষণিক আমার সাথে ছিলেন, এমনকি যারা মামলা দিয়েছেন তারাও। তাদের সকলের সহযোগিতায় আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। মানব পাচার মামলার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এই দীর্ঘ ৯ বছর অনেক যন্ত্রণা ও অপমানের ভিতর দিয়ে গিয়েছি- বিভিন্ন পরিচিত সংস্থা, শ্রমিক সংগঠন, পরিবার ও আত্মীয়দের কাছে ছোট হয়েছি। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ন্যায়বিচার পাওয়ার। বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করার পরও কেন তা মানব পাচার আইনের আওতায় এনে, আমার নামে মামলা করা হলো- তার সঠিক কারণ ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমার মনে সংশয় রয়েছে। আমার সংগঠন এই ৯ বছরে যা হারিয়েছে, তা আমি কিভাবে ফেরত পাবো? আমার যে অর্থনৈতিক সামাজিক ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে ফেরত পাবো? তাই আপনাদের কাছে আমার দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই।

জয়নাল আবেদীন জয় বলেন ৬ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরে আমার ও আমার সংগঠন বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্টস ফাউন্ডেশনের (বিএসএফ) সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার জন্য নিসউক, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও আল-আমিন নয়নের বিরুদ্ধে মানহানি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায়ে মামলা করা; মানবসম্প্রদায়ের পাচার ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকল্প (ডোনার ফান্ডেড) অনুমোদন করার পূর্বে ‘মানব পাচার আইন’ ও ‘অভিবাসন আইন’ পৃথকীকরণ সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া; মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এবং অভিবাসন আইন ২০১৩ সংশোধন করা, ও তার পৃথক ও সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান।  

এছাড়া অভিবাসীকর্মীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্টস ফাউন্ডেশনের (বিএসএফ) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিএমএফ-এর সকল সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সকল ধরনের হুমকি ও প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেওয়া; প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন ঋণ নিয়ে ইরাক ফেরত ১০ কর্মীদের পুনরায় পূর্ণবাসন ঋণ প্রদানে সহযোগিতা করা এবং প্রকৃত মানব পাচারকারীরা যেন চিহ্নিত হয় তার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।