ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস জড়িত মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতির বিবেক ছিল। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদস্খলনের যে কোনো ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৮ অক্টোবর) টিএসসি মিলনায়তনে ঢাবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হলে ভাষা আন্দোলন হতো না। পাকিস্তান আমলে মায়ের ভাষার ওপর আঘাত ঢাবির শিক্ষার্থীরাই রুখে দিয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান ন্যায় কথা বলার অভিযোগে ঢাবি থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন।
কিন্তু ঢাবি শিক্ষার্থীরা সবসময় বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা পাশে না থাকলে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হতো না, পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতো। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয়ও সম্ভব হতো না। ঢাবি শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে ভূমিধ্বস জয় পেতে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সদস্যদের চিকিৎসায় ছাড় পেতে চারটি হাসাপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরি যেন হয় সেজন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাবির সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, ঢাকা চেম্বার, চট্টগ্রাম চেম্বার কাজ করবে গবেষণায় অর্থায়নের বিষয়ে।
বাংলাদেশ পুলিশের সদ্য সাবেক আইজি বেনজির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, সাবেক মহাসচিব ড. মোহাম্মাদ ফরাসউদ্দীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বর্তমান মহাসচিব মোল্লা আবু কাউসার, কার্যকারী কমিটির সদস্য শিখা বোস।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ৮ অক্টোবর, ২০২২
এনবি/এমএমজেড