ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশ্বিনের মিষ্টি সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২২
আশ্বিনের মিষ্টি সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী অমিত আনন্দ সম্মিলনী

ঢাকা: দেশ রূপান্তরের সদ্য প্রয়াত সম্পাদক অমিত হাবিবের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে অমিত আনন্দ সম্মিলনী। গত ৪ অক্টোবর অমিত হাবিবের ৫৯তম জন্মদিন ছিল।

শনিবার (৮ অক্টোবর) আশ্বিনের মিষ্টি সন্ধ্যায় অমিত হাবিবের জন্মদিন উদযাপন করতে তার বন্ধু-স্বজন-সহকর্মী ও সৃজনশীল মানুষরা মিলিত হয়েছিলেন অমিত আনন্দ সম্মিলনীতে।

ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী কেন্দ্রে আয়োজিত সান্ধ্যকালীন আনন্দ সম্মিলনীর আয়োজক ছিলেন- ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক এনায়েত কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলক, দৃক আইচের নির্বাহী পরিচালক এস এম আলতাফ হোসেন, অমিত হাবিবের ছোট ভাই ফয়জুল হাবিব।

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজিয়া খাতুন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলানিউজ২৪ডটকমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, এটিএন নিউজের সিইও মুন্নি সাহা, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন, চলচ্চিত্রকার শবনম ফেরদৌসী, প্রথম আলো অনলাইনের ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রসহ অমিত হাবিবের কাছের বন্ধু ও স্বজনরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে শ্যামল দত্ত বলেন, পৃথিবীতে জন্মের একটা অনিবার্য সঙ্গী মৃত্যু। তাই জন্মদিনে আমরা অমিত হাবিবের জন্ম মৃত্যু সবটা নিয়েই স্মরণ করতে চাই। হাবিবের সঙ্গে ছোট ছোট অভিজ্ঞতা মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে। রাজনীতি দর্শনের দিকে না গিয়ে তার কাজ, তার সৃষ্টি, তার সংবেদনশীলতাকে আমরা স্মরণ করব।

নাইমুল ইসলাম খান বলেন, আমি সম্পাদক ছিলাম। সম্পাদকের ভূমিকা ছিল গৌণ। আমি কারো বন্ধু হতে পারিনি। এটা এক বিরাট দুর্ভাগ্য। এ নিয়ে আমি খুব অশান্তিবোধ করি কারণ আমি কারও সঙ্গে আনন্দে যোগ দিতে পারতাম না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গল্প আছে, আমার নেই। তার মৃত্যুটা আমার জন্য বেদনাদায়ক হলেও অমিত হাবিবের জীবনের স্মৃতি আনন্দ আমরা উদযাপন করব, মৃত্যুকে নয়।

নাট্যজন তরঙ্গ আনোয়ার বলেন, অমিত আদর্শবান ছাত্র ছিলেন, পছন্দ করতেন বস্তুনিষ্ঠতা। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তার স্মৃতি, কর্ম অবদানকে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু অর্জিতা। এতে অংশ নেন অমিত হাবিবের বন্ধু এবং সতীর্থরা। এছাড়া এ আয়োজনে সাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরী নির্মিত অব্যয় অমিত নামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনার মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন নবনীতা চৌধুরী।

অমিত হাবিব চাঁদের হাটের এক লুকানো নক্ষত্র ছিলেন। তবে তার শিরদাঁড়া ভীষণ শক্ত ছিল। তিনি মোটেও আপসকামী, সমঝোতা বা নগদজীবী ছিলেন না। তার সময়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে তালগাছের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন ভিন্ন উচ্চতায়। আশির দশকের শেষের দিকে কবি হয়ে আলো ছড়াতে এসেছিলেন তিনি। কবি হতে চাওয়া অমিত হাবিব হয়ে উঠেছিলেন বার্তাকক্ষের প্রাণ।

অমিত হাবিব অনেকটা আড়াল থেকে সংবাদে বৈচিত্র্য আধুনিকতাকে অন্যরকমভাবে ধারণ করতেন। সাংবাদিকতায় তিনি অনেককে পথ দেখিয়েছেন। সংবাদকে তিনি কীভাবে দেখতেন, সহকর্মীদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যুক্তির আলোয় এবং নতুন ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সারথিদের। সাংবাদিকতাকে তিনি তলিয়ে দেখেছেন গভীর থেকে জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর সাহসের স্মারক হিসেবে।  যার বিশ্বাস ছিল যুক্তি, ন্যায্যতা ও বিবেকানুগত্য।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২২
আরকেআর/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।