ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতের ৪ শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
কক্সবাজার সৈকতের ৪ শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা চার শতাধিক অবৈধ ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হয়।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী এবং লাবনী পয়েন্টের এসব অবৈধ ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।  

এসময় উচ্ছেদ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।  

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সৈকতে ৫ শতাধিক দোকানের মধ্যে ৪১৭টি উচ্ছেদ করা হয়েছে। অন্যান্য দোকানগুলো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি আদেশ থাকায় পরবর্তীতে এসব দোকানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, যাদের দোকান উচ্ছেদ হয়েছে তাদের প্রতি সরকার খুবই আন্তরিক। তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারকে জানানো হবে।  

উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।  

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বাৎসরিক ৮ হাজার টাকা অনুমোদন ফি নিয়ে ঝুপড়ি দোকানগুলো বসানো হয়। এসব ঝুপড়ি দোকানের সংখ্যা নির্দিষ্ট হলেও কয়েক বছর ধরে গণহারে অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। ফলে সৈকতের একেবারে নিচে পর্যন্ত রাতারাতি যত্রতত্র বসেছে এসব অবৈধ ঝুপড়ি দোকান। সৈকতে লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত অন্তত কয়েকহাজার ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। এসব ঝুপড়ি দোকানের কারণে সৈকতের সৌন্দর্য চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবেশও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১,২০২২
এসবি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।