লক্ষ্মীপুর: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরার দায়ে লক্ষ্মীপুরে ৫ জেলের নামে মৎস্য আইনে মামলা দায়ের করেছে নৌ-পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আলামিন, লালন সর্দার, রিয়াজ হোসেন, আনোয়ার সর্দার, ইউসুফ সর্দার। এরা সবাই মজুচৌধুরীর হাট স্লুইস গেট সংলগ্ন বেদে পাড়ার বাসিন্দা। তবে কোনো আসামিকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশের সদস্যরা মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে অভিযানে নামে। এসময় নদীতে মাছ ধরার দুটি নৌকা দেখতে পায়। তারা নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিলেন। নৌ-পুলিশের উপস্থিতি দেখে জেলেরা একটি নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়, অন্য আরেকটি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এতে কাউকে আটক করা যায়নি। পরে নৌ-পুলিশ একটি নৌকা জব্দ করে। সেখানে সাতটি ইলিশ মাছ ও প্রায় এক হাজার মিটার জাল পাওয়া যায়। মাছগুলো এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে খোঁজ নিয়ে মাছ ধরারত পাঁচ জেলের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের নামে মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, লক্ষ্মীপুরে মৎস্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আইনে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর আলমকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তাকে চররমনী মেহন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। (মোবাইল কোর্ট মামলা নম্বর-০৬/১৫, মৎস্য আইনের ১৯৫০ এর ৫ ধারা। )
নুর নবী সদর উপজেলার চররমনী মোহন এলাকার ফজলু শিকদারের ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
আরএ