ঢাকা: আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন ও পুরনো আক্রোশের কারণে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় কাইচ্চাবাড়ি কিশোর গ্যাং ও গোচারটেক ভাই-ব্রাদার কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভাই-ব্রাদার গ্যাংয়ের মেহেদিকে বাঁচাতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন লিখন (১৮)।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কাইচ্চাবাড়ি কিশোর গ্যাংয়ের মূল নেতা রনি (১৯), রাকিব (১৮), জিলানী (১৮) ও সোহাগ (১৯)।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
এর আগে, ৪ জুলাই আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয় সিরাজগঞ্জের আব্দুল মজিদের ছেলে লিখন। পলাশবাড়ী এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। আহত অবস্থায় লিখনকে উদ্ধার করে সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৫ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচা শরিফুল ইসলামবাবু বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব তদন্ত শুরু করে।
আশুলিয়া এলাকায় এই দুটি গ্যাং ছাড়াও আরও কয়েকটি কিশোর গ্যাং আছে বলে জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক।
তিনি বিলেন, এই এলাকায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যাংয়ের অন্তত ৫০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
এমএমআই/এএটি