আইনুলের বাড়ি।
নেত্রকোনা: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর, অত্যাচার নির্যাতন ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে অসহায় আইনুল ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় প্রাণ ভয়ে প্রায় তিন মাস ধরে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে প্রকাশ, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের গড়াডোবা গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে আইনুল ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহর সঙ্গে তারই প্রতিবেশী মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মিলন মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে আইনুল ইসলাম আদালত কর্তৃক ডিক্রিপ্রাপ্ত হন। তারপরও আইনুল ইসলাম ডিক্রিপ্রাপ্ত জমিতে যেতে না পারায় আদালতে স্বত্ত দখল বুঝিয়ে দেওয়ার মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চলতি বছরের ২৯ মে রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গিয়ে আইনুল ও তার স্ত্রী কুলসুমা ওরফে সাথী বেগম আহত হয়। এ ঘটনায় আইনুল বাদী হয়ে মুজাহিদ, মিলনসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাড়ি থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে আসামিরা ১১ জুন পুনরায় আইনুলের বাড়িতে প্রবেশ করে তার মা হালিমা খাতুন ও তার স্ত্রী কুলসুমাকে মারধর করে। এ ব্যাপারে কুলসুমা বাদী হয়ে মিলন মিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। অবশেষে আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ২৭ জুলাই জেলা জজ আদালতের নাজির, অ্যাডভোকেট আমিন কমিশনার, পুলিশ ফোর্স ও ঢুলি নিয়ে নালিশী ভূমিতে উপস্থিত হয়ে মাপ কার্য পরিচালনা করে সীমানা নির্ধারণ করে ঢোল পিটিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে স্বত্ত দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের লোকজন চলে যাওয়ার পর আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সীমানা নির্ধারণী খুঁটিগুলো তুলে ফেলে। এ সময় বাধা দিতে গেলে আসামিরা আইনুলের মা হালিমা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় এ জমিতে এলে তাদের খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকেই আসামিদের অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় প্রাণ ভয়ে আইনুল তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অসহায় আইনুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা ও আদালত কর্তৃক ডিক্রিপ্রাপ্ত জমির স্বত্ত দখল বুঝিয়ে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
আরএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।