রাজশাহী: ধানক্ষেত থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা এর উৎস খুঁজতে শুরু করেন। পরে ধানক্ষেতের ভেতর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গড়গড়িয়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে ওই তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত তরুণীর নাম সাহেরা খাতুন (২০)। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার চাতরা গ্রামের দানেস আলীর মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী তানোর উপজেলার সরনজাই মির্জাপুর গ্রামে।
আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা এই তরুণীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে মরদেহ ওই ধানক্ষেতের ভেতর ফেলে রাখা হয়েছিল।
তার স্বামী রাজধানী ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। এজন্য সাহেরা তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ওই বাড়ি থেকেই বুধবার (১২ অক্টোবর) নিখোঁজ হয়েছিলেন সাহেরা খাতুন।
তিন দিন পর আজ বাবার বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি ধানক্ষেতে তার অর্ধগলিত মরদেহ মিললো।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের শরীরে পচন ধরে অর্ধেক গলে গেছে। এরপর দুর্গন্ধ বের হয়। সেই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয়রা ধানক্ষেতের ভেতর নিহতের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। নিহতের শরীর বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। আর নিহত তরুণীর পোশাক ধানক্ষেতের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
ওসি আরও জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের ধারণা দুই থেকে তিন দিন আগেই সাহেরাকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতে থানায় মামলা হবে বলেও জানান- গোদাগাড়ী থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এসএস/এএটি