টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাসাইলে বিতরণকৃত টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম নামে এক পরাজিত সদস্য প্রার্থী।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক Rafiqul Islam থেকে এ স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন (বাসাইল) সদস্য-১১। আমরা ৪ জন প্রার্থী ছিলাম। ভোটার ছিল ৯৪ জন। দিন শেষে জানা গেল, প্রত্যেক প্রার্থী ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাকে ৬০ জন ভোটার কথা দিলেও এর মধ্যে কম বেশি ৫৫ জন ভোটার আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলো। ভোট দিল মাত্র ৭ জন। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। পৃথিবীর সব কিছুই একবার দেখলে চেনা যায়, শুধু মানুষ বাদে। আমাকে যারা ভোট দেননি, মনে হয় আপনাদের নামের তালিকা হওয়ার আগে আমার টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আপনারা না জনপ্রতিনিধি! ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেন, এটা আপনাদের অধিকার, তাই বলে টাকা নিবেন চার জনের কাছ থেকে ভোট দিবেন একজনকে। এটা কেমন চরিত্র আপনাদের? আপনাদের কাছ থেকে আপনার এলাকার জনগণ কি সেবা পেতে পারে? আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করে “মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করো”।
পরে তিনি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম বলেন, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর টাকা গ্রহণকারী অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ফোন দিয়েছেন। অনেকেই আজ রাতের মধ্যেই টাকা ফেরত দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ জন্য আমি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছি।
এ বিষয়ে বাসাইলের প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাছান বলেন, নির্বাচনের আগে ভোটারদের পক্ষে নিতে কেউ টাকা লেনদেন করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানা নেই। গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিল ৯৪ জন। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। উক্ত সদস্য পদে মো. নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান পেয়েছেন ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ ভোট ও আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
আরএ