শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপের সঙ্গে গাজী ফকির ও ইসাহাক ফকির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ের হরিয়াশা এলাকার স্থানীয় আবু ফকির ও ইসাহাক ফকিরের মধ্যে টিএন্ডটি মোড়ের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপের সঙ্গে ইসাহাক ফকির ও গাজী ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় উভয়পক্ষ। পাশাপাশি উভয়পক্ষের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের অন্তত ১০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষে হোসেন (৩২) নামে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বোমার বিস্ফোরণের পর ইসাহাক ফকিরের বাড়িতে থাকা কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জন পুরুষ ও নারীকে আটক করে জাজিরা থানায় নিয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় সিরাজ বেপারির ছেলে কলেজছাত্র তন্ময় বেপারী (২৩) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই ঘনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়। এখনও কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ না পেলেও আমরা আমাদের মতো করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এমজেএফ