ঢাকা: পুত্রবধূকে মারধরের অভিযোগে ফয়েজ আহমেদ (৬০) নামে একজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, অনামিকা আক্তার বিনু (২৬) নামে ওই নারীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ২০১৫ সালে।
গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) শ্বশুরের গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হন তিনি। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিনুকে।
এ ঘটনায় বিনুর বাবা শেখ হাসিুবল ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান বলেন, শ্বশুর ছেলের বউকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর বিনুর সঙ্গে শ্বশুরের খারাপ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে পারিবারিকভাবে সমঝোতা হয়। এরপর গত সাত সাত বছরে আর কোনো সমস্যা হয়নি। এ সময় দুই কন্যা সন্তানের মা হন বিনু। বর্তমানে শ্বশুর ফয়েজ পুনরায় গালিগালাজ ও খারাপ আচরণ শুরু করেন।
গত বুধবার বিনুকে গালিগালাজ করলে কেন করছে জানতে চায় সে। এরপর তাকে মারধর শুরু করেন ফয়েজ আহমেদ।
এ সময় বিনুর স্বামী ইকবাল হোসেন টিটু বাধা দিলে তাকেও গালিগালাজ করা হয়। মারধরের সময় লোহার হাতুড়ির আঘাতে বিনুর মাথার বা পাশে গুরুতর আঘাত লাগে ও হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
বিনুর বাবা শেখ হাসিবুল বলেন, মেয়েকে মারধরের সময় মেয়ে জামাই বাধা দিলেও থামেনি তার বাবা। মূলত যৌতুকের জন্যই আমার মেয়েকে তার শ্বশুর মারধর করেছে। ঘটনার পর মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে মামলা করেছি। আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
পিএম/আরবি