ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারী অভিবাসীদের জন্য আলাদা প্রকল্পের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
নারী অভিবাসীদের জন্য আলাদা প্রকল্পের দাবি

ঢাকা: নারী অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও সহায়তার জন্য প্রয়োজনে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিল্ড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লিউপিস)।

রোববার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সিডব্লিউপিএসের আয়োজনে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফরিদা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, আমরা যা তথ্য পাচ্ছি, সে অনুযায়ী সৌদি আরবে আমাদের নারীরা সবেচেয়ে বেশি  নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মিডিয়াকে আমি অনুরোধ করব, এই অবস্থা থেকে আমরা উন্নতি করতে পারছি কিনা তা মনিটরিং করার জন্য। একই সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা দরকার। তাহলে সরকারি উদ্যোগগুলো চমৎকারভাবে কাজ করবে। প্রোটেকশন, প্রিভেনশন, প্রভিশন এই তিনটি পি সরকার পালন করছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিদেশ থেকে অনেকের গর্ভবতী হয়ে আসার খবরও আমরা পাই। পরে তারা সামাজিকভাবে দুঃসহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যান। নারী অভিবাসীদের জন্য প্রয়োজনে আলাদা প্রজেক্ট নেওয়ার দাবি জানাই। ওয়েজ আর্নার কল্যাণ বোর্ডের ৯ ধারা অনুযায়ী নারীদের জন্য একটি প্রজেক্ট নেওয়ার নির্দেশনা আছে এবং বাচ্চার দায়িত্বও প্রয়োজনে ওই প্রকল্পের মধ্যে নেওয়া দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে নারী অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার বিষয়ক নিবন্ধ যৌথভাবে প্রস্তুত করেন সিডব্লিউসিএস ও অভিবাসী কর্মী কল্যাণ ফাউন্ডেশন (ওকাফ) এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুব এলাহি।

মাহবুব এলাহি বলেন, বিএমইটি স্ট্যাটিস্টিক ডাটা অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২২ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫০ জন নারী অভিবাসী হয়েছেন। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অভিবাসী হয়েছেন ৮৫ হাজার ৭৯৪ জন নারী। আমাদের নারী শ্রমিকরা যদি স্কিলড হয়ে যায়, তাহলে আরও বেশি উপার্জন করতে পারে। শুধু যাওয়া নয়, পাশাপাশি তাদের ফিরে আসার পথটাও মসৃণ হওয়া দরকার।

সিডব্লিউসিএসের সভাপতি প্রফেসর ইশরাত শামীম বলেন, নির্যাতনের শিকার অভিবাসী নারীদের পাশাপাশি, সফল নারীদের গল্পও তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে অন্য নারীরাও বুঝতে পারবে আসলে যাওয়ার পথটা কি হবে। যদি আপনারা দালালদের ওপর নির্ভর হয়ে যান, তাহলে বিপদ হবে। দালালরা কখনো এই কথা বলবেন না। ওরা বলে আপা, সঠিক ইনফরমেশন আমরা জানি না। কাজেই এই ব্যাপারে সঠিক ওয়েটা আপনারা তুলে ধরবেন এটাই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ রুমানা বলেন, নতুন নিয়ম হয়েছে অভিবাসীদের ট্রেনিং ২ মাস করাবে। বাচ্চা-কাচ্চা ফ্যামিলি রেখে একজন নারীর জন্য এত দীর্ঘ ট্রেনিং কষ্টকর। এক মাসের কোয়ালিটি ট্রেনিং করালেই যথেষ্ট। এজন্য ট্রেইনারদের আরও বেশি ট্রেনিং করাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সিডব্লিউসিএসের সুবিধাভোগীরা তাদের নিজের অবস্থান ও সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যক্রমের গল্প তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এমকে/এজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।