ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সুইডেন-ইউএনএফপিএ ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
নারীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সুইডেন-ইউএনএফপিএ ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই

ঢাকা: বাংলাদেশে ধাত্রীবিদ্যা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দানের লক্ষ্যে ইউএনএফপিএ এবং সুইডিশ দূতাবাস একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো- জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বাংলাদেশে ধাত্রী এবং ব্যাপক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান শক্তিশালী করার জন্য ইউএনএফপিএর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা।

রোববার (২৩ অক্টোবর) এই চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৬ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়নে সুইডেন-ইউএনএফপি বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা দেবে। বর্তমানে সরকার থেকে প্রায় ২৫৫০ ধাত্রী ও ৩০০ জন ধাত্রী এনজিওর মাধ্যমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং উদ্বাস্তু পরিস্থিতিসহ সংকটে কাজ করছেন। তারা টেলিমেডিসিনের মতো উদ্ভাবনী পদ্ধতিসহ জীবন রক্ষাকারী পরিষেবা প্রদান করে। বাংলাদেশে মা ও শিশুদের নিরাপদ ও সহজলভ্য পরিচর্যা দেওয়ার জন্য আরও ধাত্রীর প্রয়োজন।

সুইডিশ অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএনএফপির লক্ষ্য হলো- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দক্ষ ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত ধাত্রী দিয়ে সজ্জিত করা, যাতে নারী ও মেয়েরা তাদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। এই উদ্যোগে নিরাপদ, কাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, জন্ম, যৌন সহিংসতার প্রতিরোধ, সেইসাথে প্রজনন সংক্রমণ, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ধাত্রীরা সবচেয়ে প্রত্যন্ত এবং জলবায়ু-আক্রান্ত এলাকায় সেবাগুলো নিশ্চিত করবে।

সুইডিশ দূতাবাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখসের উপস্থিতিতে এই নতুন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।  

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, সুইডেনের ধাত্রী বিদ্যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ধাত্রীদের সহায়তা করে আসছে। আমরা দেশে ধাত্রী বিদ্যার পরিচর্যাকে আরও শক্তিশালী করতে ইউএনএফপিএ ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত। আমরা আশা করি এই নতুন চার বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ধাত্রীদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমানকে উন্নত করবে। বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
টিআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।