ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোভিড পরবর্তী স্থিতিশীল সমাজ নির্মাণে সমতাভিত্তিক অর্থনীতি প্রয়োজন: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
কোভিড পরবর্তী স্থিতিশীল সমাজ নির্মাণে সমতাভিত্তিক অর্থনীতি প্রয়োজন: স্পিকার

ঢাকা: কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি ও স্থিতিশীল সমাজ নির্মাণে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (২৩ অক্টোবর) এশিয়ান ফোরাম অব পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএফপিপিডি) উদ্যোগে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় ‘প্রায়োরিটাইজিং উইমেন রাইটস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট ইন কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সবার জন্য সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ অর্জনে ও সবুজ বিশ্ব নির্মাণে বৈশ্বিকভাবে উদ্ভাবনী সমাধানের দিকে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। সবার মনে রাখতে হবে কোভিড পরিস্থিতি সমগ্র বিশ্বেই আমূল পরিবর্তন এনেছে। গভীর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা সংকট, জীবিকা সংকট ইত্যাদি বিষয় বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের সঙ্গে জড়িত। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি ও স্থিতিশীল সমাজ নির্মাণে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে, নারীরা অগ্রযাত্রীর ভূমিকা পালন করতে পারে।

স্পিকার বলেন, সমগ্র মানবতা আজ কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতির মুখোমুখি। কোভিড মহামারি সব সেক্টরে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। নারী ও মেয়েদের ওপর বিরূপ প্রভাবসহ গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সমাজের দরিদ্র অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ঘরে থেকে ভার্চ্যুয়ালি কাজ করার নতুন ব্যবস্থা, ভ্যাকসিন গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নারীদের জীবন, জীবিকা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে। কোভিড মহামারিকালীন নারী ও মেয়েরা সহিংসতার শিকার হয়েছে। কোভিডকালীন বাল্যবিয়ে বেড়েছে। দেশের সীমান্ত পেরিয়ে বৈশ্বিকভাবে এসব সমস্যা বেড়েছে।

তিনি বলেন, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বিনিয়োগ দরকার। আন্তঃদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো, দৈনন্দিন খরচ কমানো ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হতে হবে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বিশ্বের প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। তাই সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সুশীল সমাজসহ সবার মনোযোগী হতে হবে। সমাজের অতিদরিদ্র ব্যক্তিদের সহায়তা, আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা জাল বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সমাজের অতি দরিদ্র গোষ্ঠী যেন ছিটকে না পরে সে লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

স্পিকার বলেন, নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা, কোলেটারেল ফ্রি লোন, ক্যাশ ইনসেন্টিভস, শ্রমবাজারে তাদের প্রবেশ বাড়ানো ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বৃহত্তর উন্নয়ন ও সবুজ বিশ্ব নিশ্চিতকরণ সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।