ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে বাড়ছে দমকা হাওয়ার গতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
ফেনীতে বাড়ছে দমকা হাওয়ার গতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

ফেনী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় ফেনীর সোনাগাজীতে ক্রমেই বাড়ছে দমকা হাওয়ার গতি। রাত ৮টার দিকে সোনাগাজী পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির কবির মিয়ার ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে।

আরও বেশ কয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে নদীর পানিও। রাত ৮টা থেকে মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথা বলে জানা যায়, চর খোয়াজ, বড়ধলী, ধান গবেষণা এলাকা ও আজিজুল হক মাইমুন আরা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ আরো বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের ভিড় করতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত হাজার খানেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।  

আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, পৌর মেয়র অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।  
 
বৃষ্টি ও ঝোড়ো হওয়ার ফলে ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠের ধান। উপজেলার জেলে পাড়া, আদর্শ গ্রাম, মুহুরী প্রজেক্ট, ধান গবেষণা ও সোনাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।  

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন। ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলে দুর্যোগ মোকাবেলায় বিদ্যুৎ, ফায়ার, সিপিপি, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব বিভাগ প্রস্তুত আছে। তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বপালন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত মাঠ না ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।  

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘর-বাড়ি ও সম্পদ ছেড়ে লোকজন আসতে চায় না। কিন্তু সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবশ্যই আসতে হবে। সম্পদের চেয়ে জীবন বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার সর্বোচ্চ (১০ নম্বর সংকেত) বিবেচনা করে স্বেচ্ছাসেবক, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সিপিবিসহ সকলের প্রথম দায়িত্ব লোকজন ও গৃহপালিত পশুকে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসা।  

দুর্যোগ মোকাবেলায় বরাদ্দ:
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মনজুরুল হক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলার উপকূলবাসী জন্য ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি চাল ১০ কেজি, ডাল ১ কেজি, তেল ১ লিটার, চিনি ১ কেজি, আয়োডিন যুক্ত লবণ ১ কেজি, মরিচ ও হলুদ গুঁড়া ২০০ গ্রামের সমন্বয়ে ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ১৫০ কার্টন ড্রাই কেক, ১৫০ কার্টন বিস্কুট দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২ 
এসএইচডি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।