ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগপ্রবণ জেলায় নেই আবহাওয়া অফিস, দ্রুত নির্মাণের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
দুর্যোগপ্রবণ জেলায় নেই আবহাওয়া অফিস, দ্রুত নির্মাণের দাবি

বরগুনা: সাগর তীরবর্তী জেলা বরগুনা। প্রতি বছরই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে এ জেলায়।

অথচ দেশের সর্ব দক্ষিণের এ জেলায় এখনো নির্মাণ হয়নি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস।  

ফলে সঠিক সময়ে সঠিক পূর্বাভাস না পেয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বার বার বিপর্যস্ত হচ্ছে এই জনপদ। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ, জেলে ও কৃষকরা।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত দিনের ঘূর্ণিঝড় সিডর, মহাসেন, আইলা, রোয়ানু ও মোরার সময় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে এখানে অমিল ছিল ঝড়ের গতি ও স্থান পরিবর্তনের।

জেলার সচেতন মহল বলছেন, বিগত প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অনেক গরমিল ছিল। ফলে বন্যার গতি ও স্থান পরিবর্তনের প্রভাবটা পড়েছে গোটা উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের ওপর।

সচেতনদের দাবি, শিগগিরই বরগুনা জেলায় পূর্ণাঙ্গ আবহাওয়া অফিস নির্মাণ করা হোক। আবহাওয়া অফিস নির্মাণ হলে সঠিক পূর্বাভাস পেয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবে এখানকার মানুষ।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সঠিক সময়ে আবহাওয়ার সংকেত না পাওয়ায় গভীর সাগরে থাকা জেলেদের তথ্য দিতে পারি না। তাই ঝড়ের কবলে পড়ে প্রতিবছর বহু জেলে ট্রলারডুবিতে মারা যাচ্ছে।

জেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কোনো অফিস না থাকায় জনগণের তোপের মুখে পড়তে হয় আমাদের। আবহাওয়ার তথ্য ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতে যে সময় লেগে যায় ততক্ষণে আবহাওয়া অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বরগুনা জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে এখনও প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার হয়নি। এছাড়াও বাঁধের উচ্চতা ও প্রশস্ততা বাড়ানোর প্রয়োজন। আমরা বেশ কিছু এলাকার বাঁধ সংস্কার করেছি, এখনও কাজ চলছে। মূলত এই এলাকার মানুষ সিডরের পর ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এখন অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে যাওয়াও আতঙ্ক ছড়ানোর আরেকটি কারণ। ’

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রমহান বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ছয়টি উপজেলায় পৃথকভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,‌ আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক সক্ষম। আমাদের ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও শতাধিক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। প্রয়োজনে এসব কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। তাই এলাকার লোকজনকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।