ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুরু, নোয়াখালীতে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুরু, নোয়াখালীতে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

নোয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলে ঝড়, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বিরাজ করছে।

 

এ দূর্যোগ পরিস্থিতিতে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ উপকূলীয় তিনটি উপজেলার ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৬ হাজার ১৩৪ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর মধ্যে হাতিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এক লাখ ৫ হাজার ৬৩৪ জন লোক অবস্থান নিয়েছেন।  

হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া, নিঝুমদ্বীপ, চরঈশ্বর ও হরনী ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৫০০-এর বেশি মানুষ।  

এছাড়া সুবর্ণচর উপজেলায় অল্প কয়েকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। হাতিয়াতে ২৯ হাজার ৩২২টি গবাদিপশু নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।  

স্থানীয়রা জানায়, নিঝুমদ্বীপ ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এদের বেশিরভাগ বেড়িবাঁধের বাইরে ও ঢালে বসবাস করেন। হাতিয়াতে সকাল থেকে ভারি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। নলচিরা ঘাটের পাশে তীরে নোঙর করা কয়েকটি মালবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এদিকে হাতিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিঝুম দ্বীপের হরিণ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহিৃত করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৩ লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন  ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম ১০১টি ও ২৫০ মেট্রিক চন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা, বিস্কুট ৭০০ কার্টুন মজুত রাখা হয়েছে। একটি কন্ট্রোলরুম চালু করেছে জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতিয়ার ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্রের বেশিরভাগেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অল্প কিছুতে সৌরবিদ্যুতের আলো আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আশ্রয় নেওয়া লোকজন। এর আগে নদী উত্তাল থাকায় রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।