ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ এলো ২৪ ঘণ্টা পর, গ্রাম এখনও অন্ধকারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ এলো ২৪ ঘণ্টা পর, গ্রাম এখনও অন্ধকারে

চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। গ্রামাঞ্চলে রোববার দিনগত রাত থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি উপজেলা পর্যায়ে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়ার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। সকাল ১০টার পর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। সোমবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে বন্ধ হওয়া লঞ্চ চলাচল শুরু হয় মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়।

চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা সিত্রাংয়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে সেখানে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল।

এদিকে সোমবার রাতে ঝড়ের প্রভাবে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮৭০ জন উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়। তারা আজ সকালে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় রোববার রাত থেকে এখন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ। হাইমচর উপজেলায় একই অবস্থা। হাজীগঞ্জে বিদ্যুৎ নেই এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যায় আছেন গ্রাহকরা। কচুয়া, শাহরাস্তি মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। ঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল পালা ভেঙে পড়েছে বসতবাড়ি ও সড়কে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বাংলানিউজকে বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখা হতে জেলার ৮ উপজেলার নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা এবং ১৮ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষিত হয়নি।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে গাছের ডাল পালা ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা সেগুলো অপসারণ করায় সড়ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। সোমবার সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-কুমিল্লাসহ সব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।  

চাঁদপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শোয়েবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ে লাইনে গাছ ও ডাল ভেঙে পড়ায় আসতে বিলম্ব হয়। রাত ১টা ২৫ মিনিটে এসে চাঁদপুর স্টেশনে পৌঁছায় মেঘনা এক্সপ্রেস। তবে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হয়নি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাড়ার পর থেকে আমরা শহর রক্ষা বাঁধ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। গত সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা বাড়লেও আজকে স্বাভাবিক। শহর রক্ষা বাঁধও শঙ্কামুক্ত।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছের ঢাল লাইনের ওপর ভেঙে পড়ে। যে কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে সকল সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ লাইন চেক করা হচ্ছে। শহরের কিছু কিছু লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।