খুলনা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে খুলনার বাস্তহারা কলোনিতে। ময়লা-আবর্জনামিশ্রিত পানিতে একাকার গোটা কলোনি।
গত তিন দিন ধরে এ পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের মুজগুন্নি মহাসড়ক, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল পেরিয়ে বাস্তুহারা কলোনি। এখানের সড়কগুলো কংক্রিটের। এ সড়ক থেকে নেমে গেছে ছোট ছোট গলি। কোনোটি ইট বিছানো, কোনোটি কংক্রিটের আবার কোনোটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এসব এলাকায় বাস করছে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় এলাকাটি। এ অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করছে না সিটি করপোরেশন। এ কারণে কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
এলাকাবাসী জানায়, বাস্তুহারা এলাকার পানি নিষ্কাশনের খালটি বন্ধ। এছাড়া অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণের কারণে পানি নামতে পারে না; অন্য এলাকার পানি এই অঞ্চলে এসে জমা হচ্ছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাস্তহারা কলোনির ১২ নং গলির বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় স্মরণকালের বৃষ্টিপাতে বাস্তহারা কলোনিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন ধরে হাজারো মানুষ পানিবন্দী। অথচ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কার্যকরী কোনো ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। এখানের অধিকাংশ বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
কলোনির ৮ নং গলির বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পানিবন্দী হয়ে আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। সিটি করপোরেশনের কাছে তিনি অনুরোধ জানান, অবিলম্বে যেন এ কলোনির পানি নিষ্কাশন করা হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, কলোনির গলিগুলো নিচু। যে কারণে সামান্য বৃষ্টিতে পানি আটকে যায়। তবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস