ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার রোড সেফটির মাস্টার প্ল্যানের খরচ দেবে ব্লুমবার্গ: মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
ঢাকার রোড সেফটির মাস্টার প্ল্যানের খরচ দেবে ব্লুমবার্গ: মেয়র সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর (ঢাকা শহরে) রোড সেফটির জন্য সব ধরনের রিসার্চ করে মাস্টারপ্ল্যান করে দেবে। এর সব খরচ দেবে ব্লুমবার্গ।

এজন্য আমরা চুক্তি সই করেছি।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের নগরভবনের অডিটোরিয়ামে সি৪০ সিটিস সম্মেলন ও ব্লুমবার্গ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিদিন ঢাকা শহরে দুই হাজার মানুষ আসেন। তাই জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বরাদ্দকৃত ফান্ডের ৫০ শতাংশ করতে হবে। গ্রিন জব তৈরি করতে হবে এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য স্বল্প খরচে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, তেজগাঁওয়ের ছয় হাজার ৫০০টি ট্রাক রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ডিটেল এরিয়া প্ল্যানের মধ্যে দেখাতে হবে। এ ট্রাকগুলো আমি ফেলে দিতে পারবো না এবং উধাও করতেও পারব না। আমরা এটা নিয়ে আলাপ করছি, সেখানে কোনো স্থায়ী শেড করতে পারি কিনা। এজন্য তেজগাঁওয়ে থাকা বিটিসিএল কাছে জায়গা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। রেলের কাছেও জায়গা চাইবো। আজকে ঢাকা সিটিতে সিটি করপোরেশনের কোনো জায়গা নেই। ঢাকা শহরে জায়গা আছে রাজউক, হাউজিং, সিভিল এভিয়েশন ও রেলওয়ে এবং পিডব্লিউডিএর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মহাখালীতে উচিত ছিল সিটি বাস সার্ভিস করার জন্য। সেটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের জন্য না। যখন প্ল্যান করা হয় তখন আমরা খুব শর্ট টার্ম প্ল্যান করি, আমরা টার্ম ভিশনে যেতে পারছি না এটাই আমাদের সমস্যা। আজকে যদি মহাখালী, গাবতলী, সায়দাবাদ ও যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডকে বলা হতো যে অনলি ফর ইন্টারসিটি তাহলে কিন্তু আজকের সিটিটা এত খারাপ হয় না। আজকে বগুড়া থেকে বাস আসছে, ময়মনসিংহ থেকে বাস আসছে। এ বাসগুলো সিটির ভেতর দিয়ে মহাখালীতে যায়। এটি হবে না। এটির জন্য অলরেডি প্ল্যান করেছি। এটার জন্য একটা মাস্টার প্ল্যান আমাদের করতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা,  প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, উপপ্রধান প্রকৌশলী (অব.) ড. তারিক বিন ইউসুফ।

ডিএনসিসি জানায়, মূলত স্থিতিস্থাপক তৈরি করতে ঐক্যবদ্ধ ক্যাটাগরিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২২ অর্জন করে ডিএনসিসি। গত ১৯ অক্টোবর আর্জেন্টিনার শহরের বুয়েনস আয়ার্সে সি৪০ এর সম্মেলনে সি৪০ সিটির চেয়ারম্যান ও লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ পুরস্কার তুলে দেন ডিএসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের হাতে।

উন্মুক্ত স্থানগুলোর আধুনিকায়ন উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় ১৮টি পার্ক, চারটি খেলার মাঠ, ৫০টি নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও ২৩টি বিদ্যমান পাবলিক টয়লেটের উন্নয়ন, দুইটি কবরস্থানরউন্নয়ন এবং একটি পশু জবাইখানা উন্নয়ন কার্যক্রম এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ