ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সংস্থাটির ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন দক্ষিণখান থানার জিডি মূলে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলা হয়। প্রথম দফা রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। বিমানে জুনিয়র অপারেটর জিএসই, জুনিয়র টেইলার কাম আপহোলস্টার, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের লক্ষ্যে এ পরীক্ষা নেওয়া কথা ছিল। তবে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানার পর পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে।
এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে গ্রেফতার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি, প্রশ্নপত্র বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নের অনলাইনে আদান প্রদানের তথ্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর পুলিশ জানায়, একটি অসাধুচক্র বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। পরে নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি/সফট্কপি বিক্রি করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায় তারা ছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশ্ন ফাঁস প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত।
এ চক্রের সঙ্গে পলাতক মাসুদ ডিজিএম (সিকিউরিটি) এর গাড়িচালক এবং পলাতক মাহবুব আলী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়িচালক জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
কেআই/এনএটি