কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম হত্যার
৮ বছরেও শেষ হয়নি বিচার কার্যক্রম। ইতোমধ্যে সব আসামি জমিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী দিলসাদ বেগমকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিকেলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় কলেজ শিক্ষক মো. শামসুল আলমকে। তিনি টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত ফজল করিমের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, অধ্যাপক শামসুল আলম হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এখন সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। মামলার বাদী এবং সাক্ষীরা যদি সহযোগিতা করেন কয়েক মাসের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
কিন্তু সাক্ষীরা আদালতে না আসায় মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না। মামলার বিচার নিশ্চিত করতে বাদী ও সাক্ষীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি।
মামলার বাদী দিলসাদ বেগম জানান, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর শুক্রবার প্রকাশ্যে শামসুল আলমের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথেই গাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর তিনি বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে পরের বছর পুলিশ ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়।
দিলসাদ জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়া মো.হাসান মারা গেছেন। ঘটনার ৮ বছরে বিচার বিলম্বিত হওয়ায় এ মামলার সাক্ষী এবং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তারা নানাভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে।
টেকনাফ কলেজের অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল জানান, একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ৮ বছরেও এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক। তার একজন সহকর্মী হিসেবে রাষ্ট্রকে বিচার নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
এসবি/এসআইএস