ঢাকা: বেআইনিভাবে বালু তুললে সরঞ্জাম জব্দ করার পাশাপাশি এ ব্যবসার অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান রেখে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২২' এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা একটা নতুন আইন নিয়ে আসা হয়েছে যে কিভাবে বালুমহাল ম্যানেজ করা হবে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক এবং ভূমি মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটা বালুমহালের জন্য তারা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে রিকুইজিশন নেবে, তাদের জুরিসডিকশনে এবং তারা একটা ডিজিটাল সার্ভে করে প্রত্যেকটা জেলা প্রশাসককে বা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবে কোথায় বালুমহাল আছে, কতটুকু তার পরিধি, কি পরিমানে বালু উত্তোলন করা যাবে।
তিনি বলেন, বালুমহালগুলো এক বছরের জন্য লিজ নেওয়া যাবে। এটাই হলো আইনের মূল বিধানটা। তবে যদি কোনো উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয় এসব জায়গা থেকে বালু তোলা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যারা বেআইনিভাবে বালু তুলবে তাদের সব সরঞ্জাম সরাসরি জব্দ করে তাদেরকে পুরো জীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে দিতে হবে, তারা আর এ ব্যবসায় থাকতে পারবে না। কারো বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া এই আইনে নির্দেশনা রয়েছে রাতের বেলা কেউ বালু তুলতে পারবে না। দিনের বেলায় সূর্যাস্তের মধ্যেই বালু তোলা শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২২
জিসিজি