ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধোলাই খাল যেন ময়লার ভাগাড়

মহিউদ্দিন রিফাত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
ধোলাই খাল যেন ময়লার ভাগাড়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): একসময়ের ঢাকার প্রধান জলপথ ছিল ধোলাই খাল। কিন্তু এখন খাল থেকে ক্রমশ ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে এই খালটি।

কাগজপত্রে প্রায় ১০০ ফুটেরও বেশি প্রশস্ত ধোলাই খাল বাস্তবে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ ফুট টিকে আছে। এখন খালটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে তা ময়লার ভাগাড়। আশপাশের বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও কলকারখানা থেকে ফেলা বর্জ্য আর প্লাস্টিকে খালগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ সালে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করা হয় । তিনি ১৬১০ সালে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থানের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন । সেই সময়ে ঢাকার প্রধান জলপথ ও নগর রক্ষা পরিখা ছিল এ ধোলাই খাল। নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে নগর রক্ষার পরিখা নির্মাণ ও জলপথ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ঢাকার প্রথম সুবেদার ইসলাম খান ধোলাই খাল খনন করিয়েছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে এই খালটি। ধোলাই খালের বক্স-কালভার্টের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ী, পুলিশ লাইনস ব্যারাক, কেশব ব্যানার্জি রোড, আর কে দাস রোড, আলমগঞ্জ রোড, সূত্রাপুর, নারিন্দা, দয়াগঞ্জের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এখানকার সবগুলো ড্রেনেজ উন্মুক্ত হয়েছে এই খালে। খাল ভরাট হওয়ায় প্রায়ই ড্রেনেজে মিশে যায় সুয়ারেজের বর্জ্য, বৃষ্টি হলে রাস্তায়ও উঠে আসে নোংরা পানি। আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করে বর্তমানে এরই মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে অংসখ্য অস্থায়ী দোকান। ময়লা আবর্জনা, প্লাস্টিকের বোতলে ভরাট হয়ে আছে খালটি।

মিল বারেক এলাকার বাসিন্দা নাহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দুই তিন বছর আগে দেখেছিলাম একবার পরিষ্কার করেছে। তারপর আর পরিষ্কার করতে দেখিনি। খাল অনেক ছোট হয়ে গেছে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই পানি আটকে থাকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মিল বারেকের ওখানে চ্যানেলে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আছে, আশাকরি সামনের সপ্তাহেই পরিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ধোলাইখালের আশপাশে অনেক বর্জ্য আছে। বর্জ্যের কারণে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে আছে। ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন করলেও আবারও এগুলো জমে যায়। পরিকল্পনা আছে আগামী মাসে বর্জ্যগুলো নিষ্কাশন করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।