ঢাকা: রাজধানীর রামপুরায় ওয়াপদা রোডের একটি বাসা থেকে নিয়াজ মোর্শেদ নাদিম (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইষ্ট-ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়তেন।
মঙ্গলবার (১নভেম্বর) বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে রুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে, কেন সে গলায় ফাঁস দিয়েছে এ বিষয়ে পরিবারের কেউ কিছুই জানাতে পারেনি।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে শিক্ষার্থী নিয়াজ মোর্শেদ নাদিম সব সময় চুপচাপ থাকতো। সবার সঙ্গে কথা কম বলতো।
মামা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নাদিম আফতাবনগরের বেসরকারি ইষ্ট-ওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়তো। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট ছিল। রামপুরা ওয়াপদা রোডে পরিবারের সঙ্গেই থাকতো। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ১০টার দিকে নাদিমকে তার মা ডাকতে যান। তখন অনেক্ষণ দরজা ধাক্কাধাক্কি করেও নাদিমের কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে দরজা ভেঙে দেখতে পান নাদিম ফ্যানের সঙ্গে নিজের পরনের লুঙ্গি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯-এর মাধ্যমে থানায় জানানো হয়।
তিনি আরও জাননা, নাদিম পড়াশুনায় ভাল ছিল। কিন্তু একটু চাপা স্বভাবের ছিল, কথা কম বলতো। কেন সে গলায় ফাঁস দিয়েছে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই। তবে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
পুলিশ জানিয়েছে নিহত শিক্ষার্থী নাদিমের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিপুর উপজেলার কাটবুনিয়া গ্রামে। বাবা জসিস উদ্দিন হাফিজ আমদানি-রপ্তানীর ব্যবসা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড