বরগুনা: বরগুনায় দু’দিনের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতি। প্রথম দিনেই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে সড়ক পথে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে জেলা বাস মালিক গ্রুপ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগির হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌড়াত্ম ঠেকাতে আজ (৪ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে বরগুনায় দুদিনের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতি।
জানা যায়, সড়কে থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাক দেয় বরগুনা বাস মালিক সমিতি। তাদের দাবি অটোরিকশা চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। এতে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেমন হয় তেমনি পরিবহন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। তাই তারা এই ধর্মঘট ডেকেছেন।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়ির দৌড়াত্ম ঠেকাতে আমাদের এই ধর্মঘট কর্মসূচি। এরপরেও যদি প্রশাসন অবৈধ গাড়ি বন্ধ না করে তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি দেব।
অন্যদিকে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান টিটু বাংলানিউজকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা যাতে বরিশালে সমাবেশে যেতে না পারেন, এ কারণেই সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কোনো কৌশলই সফল হবে না, এমন দাবি করে তিনি বলেন, বরিশালের জনসমাবেশও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহাবুবুল আলম বলেন, পুলিশ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক ও যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে বুধবার রাতে তল্লাশি করেছে। আমরা যাতে সমাবেশে আসতে না পারি, সে জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ তল্লাশির নামে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।
বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত এমন অভিযান চলছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
নিউজ ডেস্ক