ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাইসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
বাইসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চার শতাধিক বাইসাইকেল চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৭টি চোরাই বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার তিন সাইকেল চোর হলেন- আসিফ, আপন ও হোসেন ফকির শাকিল।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকায় চোরাই বাইসাইকেল কেনা-বেচা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধুবাগ এলাকায় অভিযান চালায় থানা পুলিশ। অভিযানকালে প্রথমে আসিফ ও আপনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুইজন বাইসাইকেল চুরি ও চোরাই বাইসাইকেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, পরে আসিফ ও আপনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে মধুবাগ থেকে হোসেন ফকির শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দোকান থেকে ১টি চোরাই বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়। শাকিলের তথ্যমতে পশ্চিম রামপুরার একটি গোডাউন থেকে আরও ২৬টি চোরাই বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এদিকে হাতিরঝিল থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার আসিফ ও আপনসহ এ চক্রের আরও ১০ জন মিলে মগবাজার, রামপুরা, মতিঝিল, বাড্ডা, মুগদা এলাকায় বাইসাইকেল চুরির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। চক্রের টার্গেট রেস্টুরেন্ট, মার্কেট, কাঁচাবাজার কিংবা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বাইসাইকেল। টার্গেট করা বাইসাইকেলে তালা না থাকলে তারা নিমিষেই চুরি করে নিয়ে যায়। তালা থাকলেও বিশেষ কায়দায় চোখের পলকেই ভেঙে ফেলে। এই চক্রটি গত ৩-৪ বছরে প্রায় ৪ শতাধিক বাইসাইকেল চুরি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। চক্রের অন্য সদস্যদেরকেও সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার শাকিলের বাইসাইকেল মেরামতের দোকান আছে মধুবাগে। সে মূলত এই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে অল্প দামে চোরাই বাইসাইকেল কিনে তার গোডাউনে রেখে প্রয়োজনে মেরামত করে বা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে নিজের দোকানে রেখে বিক্রি করতেন। চোরাই বাইসাইকেলের সংখ্যা বেশি হলে বংশালে একটি দোকানে পাঠিয়ে দিতেন। সেই দোকানের মালিককেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেফতার আসিফ ও আপনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বাইসাইকেল চুরি/মিসিং সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল ও সংশ্লিষ্ট সময়ে থানায় মামলা/জিডি হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে, যাতে উদ্ধারকৃত বাইসাইকেলগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় বলেও জানিয়েছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের নামে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারও পলাতক অভিযুক্তদের নামে হাতিরঝিল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।